হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী বিপ্লবের ঘাঁটি ও বিশ্বের ইসলামি কেন্দ্র কুম শহরের ধর্মপ্রাণ ও বিপ্লবী মানুষ ১৪০৪ সালের ফারওয়ার্দিন মাসের ২৫ তারিখ বিকেল ৪টা থেকে ‘তারিকুল মাহদি’ রাস্তায় পায়ে হেঁটে হযরত ফাতেমা মাসুমা (সা.)-এর মাজার থেকে পবিত্র জামে মসজিদে জামকারান পর্যন্ত এক মিছিল শুরু করেন।
এই মঙ্গলবার, 'তারিকুল মাহদি' পথজুড়ে মানুষ চলতে শুরু করে। মানবজাতির মুক্তিদাতা ইমাম মাহদি (আ.)-এর প্রেমিকরা নিরস্ত্র গাজার নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ালেন। অন্তরের গভীর থেকে তাঁদের কণ্ঠে ধ্বনিত হলো আহ্বান—ইমাম মাহদি (আ.)-এর সহায়তা ও গাজার স্বাধীনতা কামনায়, অন্যায় ও রক্তপাতের রাত শেষ করার আকুতি।
মিছিলকারীরা ‘ইসলামী প্রতিরোধ ফ্রন্ট’ ও গাজার নির্যাতিত জনগণের সমর্থনে নানা পোস্টার বহন করছিলেন এবং স্লোগান দেন:
“আমেরিকার মৃত্যু হোক”,
“ইসরায়েলের মৃত্যু হোক”,
“প্রতিটি মুসলমানের নীরবতা কুরআনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা”,
“হায় হায় যে আমরা লাঞ্ছনার কাছে মাথা নত করবো না”,
“প্রতিরোধের নেতা, তোমার পথ অব্যাহত থাকবে”।
তাঁরা ইহুদিবাদী অপরাধীদের বর্বরতার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।
আজ কুমের জনগণ বিশ্বকে জানিয়ে দিলেন—তারা গাজার নির্যাতিতদের একা ছেড়ে দেবেন না, ইসলামী প্রতিরোধ ফ্রন্টকে সমর্থন ও সাহায্য করা থেকে কখনও পিছু হটবেন না এবং তাঁরা তাঁদের গৃহীত অঙ্গীকারে দৃঢ় ও অবিচল।
বিশ্বের ইসলামি নেতৃবৃন্দ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন—আর নীরব থাকবেন না, জেগে উঠুন! এবং ইহুদিবাদী দখলদারদের হাতে শিশু, নারী ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধে সোচ্চার হোন।
‘তারিকুল মাহদি’ রাস্তায় পদযাত্রা শেষে, অংশগ্রহণকারীরা “আনা আলাল আহদ” শিরোনামে এক বৃহৎ গণসমাবেশে, ইমাম মাহদি (আ.)-এর কাছে প্রার্থনা ও পুনরায় অঙ্গীকার অনুষ্ঠানে, মাগরিব ও ইশার নামাজের সময় পবিত্র জামকারান মসজিদে অংশ নেন।
এই অনুষ্ঠানে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের ইরানস্থ প্রতিনিধিরাও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
ইসলামী বিপ্লবের সূতিকাগারের সাহসী জনগণ আবারও প্রমাণ করলেন—ইসলামী প্রতিরোধ ফ্রন্ট ও গাজার নিরস্ত্র জনগণ একা নন। আল-কুদস ও বিশ্বের নির্যাতিতদের আদর্শ রক্ষায় তারা পিছপা নন।
তারা প্রস্তুত—প্রয়োজনে যুদ্ধে নেমে নিজের রক্ত দিয়ে তাদের বিশ্বস্ততা প্রমাণ করতে এবং ত্যাগ, সাহস ও গৌরবের জিহাদ উপস্থাপন করতে।
সালাম ও দরুদ এই বীর ও বিশ্বস্ত জাতির প্রতি, যারা সব সময় তাঁদের জীবন দিয়ে দ্বীন, ইসলামী বিপ্লব, নেতৃত্ব, ও বিশ্বের নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আপনার কমেন্ট